তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চল ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী এলাকায় শক্তিশালী ভূমিকম্পের আঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৪১-এ। এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শত শত মানুষ এখনো ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকা আছেন বলে ধারণা। তুরস্ক ও সিরিয়া—উভয় দেশের ভূমিকম্পকবলিত এলাকায় অনুসন্ধান ও উদ্ধার তৎপরতা চলছে। এ ছাড়া এই ভূমিকম্পে দুই দেশে সহস্রাধিক মানুষ আহত হয়েছেন।
তুরস্কের বিপর্যয় ও জরুরি ব্যবস্থাপনা এজেন্সির বরাতে অ্যাসোসিয়েট প্রেস জানিয়েছে, দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ভূমিকম্পে অন্তত ২৮৪ জন নিহত হয়েছেন এবং ৪৪০ জন আহত হয়েছেন।
অন্যদিকে রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে দ্য গার্ডিয়ানের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ার সরকার নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ২৩৭ জন নিহত হয়েছেন এবং ৬৩০ জনের বেশি আহত হয়েছেন। আর বিদ্রোহীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় অন্তত ১২০ জন নিহত হয়েছেন।
গার্ডিয়ান জানায়, সিরিয়ার আলেপ্পো ও হামা শহর থেকে তুরস্কের দিয়ারবাকির পর্যন্ত উত্তর-পূর্বে ৩৩০ কিলোমিটারের বেশি বিস্তৃত আন্তঃসীমান্ত এলাকার ভবনগুলো ভূমিকম্পে ধসে পড়ার খবর পাওয়া গেছে।
তুরস্কের ভাইস প্রেসিডেন্ট ফুয়াত ওকতায় বলেছেন, ভূমিকম্পে দেশটির গাজিয়ানটেপ ও কাহরামানমারস প্রদেশের প্রায় ৯০০ ভবন ধ্বংস হয়েছে। ভূমধ্যসাগরীয় উপকূলীয় শহর ইস্কান্দারউনে একটি হাসপাতাল ধসে পড়েছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের খবর জানা যায়নি।
তুরস্কে ভূমিকম্পে নিহতের সংখ্যা ১০ হাজার ছাড়াতে পারে
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যবশত ভূমিকম্পের এই সংকটকালে আমরা তীব্র আবহাওয়ার মোকাবিলা করছি।
এর আগে স্থানীয় সময় সোমবার ভোর ৪টা ১৭ মিনিটে এ ভূমিকম্প দেশ দুটিতে আঘাত হানে। রিখটার স্কেলে এর মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপের (ইউএসজিএস) তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটি গাজিয়ানটেপ প্রদেশের নুরদাগি এলাকা থেকে ২৩ কিলোমিটার পূর্বে আঘাত হানে। এর গভীরতা ছিল ২৪ দশমিক ১ কিলোমিটার।