গাজীপুরের টঙ্গীর তুরাগ নদের তীরে গত বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) বাদ জোহর ভারতের মওলানা ইকবালের আমবয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হওয়া আলমি শূরার (জোবায়েরপন্থী) তিন দিনব্যাপী জোড় ইজতেমা রবিবার (৪ ডিসেম্বর) বেলা ১১টা থেকে ১২টার মধ্যে মোনাজাতের মধ্যদিয়ে শেষ হবে। এর মধ্য দিয়ে শেষ হবে এ পর্বের জোড় ইজতেমা।
আয়োজক কমিটির মুরুব্বিরা জানান, ঢাকা, গাজীপুর, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদি, ভোলা ও টাঙ্গাইল জেলার তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে এই জোড় শুরু হয়। আগত মুসল্লিরা ময়দানের উত্তর-পূর্ব কোণের টিনশেড এবং টিনশেডের বাইরে অবস্থান নেন। মোনাজাত শেষে মুরুব্বিদের পরামর্শ অনুযায়ী দেশ-বিদেশে তাবলীগের দাওয়াতি কাজে বেরিয়ে পড়বেন চিল্লাধারী সাথীরা। শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বাদ ফজর আগত ধর্মপ্রাণ মুসল্লীদের উদ্দেশ্যে বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা ওসমান ও বাংলা তর্জমা করেন মাওলানা মুসফিক।
সকাল ১০টা থেকে বয়ান করেছেন ভারতের মাওলানা ইকবাল ও বাংলা তর্জমা করেন মাওলানা মতিন সাহেব। বাদ যোহর বয়ান করেন পাকিস্তানের মাওলানা তাহের কোরায়েশি ও বাংলা তর্জমা করবেন আবু ওবায়দা, পাকিস্তানের নাগরিক ডা. ওুহুল্লাহ ও বাংলা তর্জমা করেন মাওলানা আহমেদ হোসাইন। বাদ আসর বয়ান করেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের সাহেব। বাদ মাগরিব বয়ান করেন ভারতের মাওলানা আব্দুর রহমান ও বাংলা তর্জমা করেন মাওলানা আব্দুর রশিদ।
মানিকগঞ্জ থেকে ইজতেমায় আসা এক মুরব্বি আবু হানিফ পাঠান (৬০) বলেন, জোড় ইজতেমা শেষে চিল্লায় বেরিয়ে পড়বেন তারা। কেউ এক চিল্লা, কেউ দুই চিল্লা আবার কেউ তিন চিল্লায় দিনের মেহনতে বেরিয়ে যাবেন।
এ ব্যাপারে বিশ্ব ইজতেমা আয়োজক কমিটির শীর্ষ মুরুব্বি ডা. কাজী সাহাবুদ্দিন বলেন, বৃহস্পতিবার বাদ জোহর থেকেই টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আলমি শূরার তত্ত্বাবধানে তিন দিনের জোড় শুরু হয়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ওসি মো. শাহ আলম বলেন, আগত মুসল্লিদের সেবায় থানা পুলিশ কাজ করছেন। পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্নভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা সেবা দিচ্ছে পুলিশ।