আগামী ০৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনে নীলফামারী-০৪ (সৈয়দপুর-কিশোরগঞ্জ) আসনে মোট ৭জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দিতায় থাকলেও বর্তমানে মাঠে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে সরব রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আ’লীগ সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মোখছেদুল মোমিন (ট্রাক প্রতিক) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপা নেতা সিদ্দিকুল আলম (কাঁচি প্রতিক)। তবে
মনোনয়ন দাখিলের অনেক আগে থেকেই সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জ উপজেলার গ্রাম-গঞ্জে চষে বেড়ারো শুরু করেন আ’লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী মোখছেদুল মোমিন। পরে দলীয় মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে প্রতিক পাওয়ার পর থেকে আরো প্রবলভাবে প্রচার-প্রচারণায় সকাল-দুপুর-বিকেল-সন্ধ্যা ও রাতে নীলফামারী-০৪ আসনের দুটি উপজেলারই গ্রাম-গঞ্জে তিনি তার সমর্থকদের নিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় ব্যস্ত সময় পার করছেন।
অপরদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাপা নেতা আলহাজ্ব সিদ্দিকুল আলম প্রতিক পাওয়ার পর নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছেন। তিনিও নির্বাচনী এলাকার দুটি উপজেলারই গ্রামে-গঞ্জে সাধারন ভোটারসহ পেশাজীবি বিভিন্ন সংগঠনের নেতা-কর্মিদের নিয়ে সভা-সমাবেশ করে চলেছেন।
তবে, জোটের প্রার্থী জাপার বর্তমান এমপি আহসান আদেলুর রহমান (লাঙ্গল প্রতিক) ও অন্যান্য প্রার্থীরা এখন নির্বাচনী মাঠে সরব হননি।
স্বতন্ত্র প্রার্থী মোখছেদুল মোমিন বলেন, আমি দীঘদিন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং শ্রমিক নেতা হওয়ার সুবাধে সাধারণ মানুষের পাশে থেকে তাদের বিপদে আপদে ছিলাম ৷ এখনো আছি ৷ সৈয়দপুরে ব্যাপক উন্নয়ন করেছি ৷ সৈয়দপুর ও কিশোরগঞ্জকে মডেল উপজেলা করতে এবং বেকার সমস্যা দুর করতে আমার নির্বাচনে আসা ৷ আশা করছি ৭ জানুয়ারী দল মত ও ভেদাভেদ ভুলে সবাই আমাকে ভোট দিবেন ৷ সবার ভোটে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত ইনশাল্লাহ ৷
যদিও দু/একদিনের মধ্যে তাদেরও নির্বাচনী মাঠে সরব হওয়ার কথা রয়েছে। এ আসনের অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী এম সাজেদুল করিম (নোঙ্গর প্রতিক), তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের (সোনালী আঁশ প্রতিক), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের প্রার্থী আজিজুল হক (মশাল প্রতিক), ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টির প্রার্থী আব্দুল হাই সরকার (আম প্রতিক)।