উত্তরের জেলা নীলফামারীতে বেড়েছে শীতের তীব্রতা। তাপমাত্রা কমে যাওয়ার পাশাপাশি হিমেল হাওয়া এবং গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো শিশিরে এ জেলার তিস্তার তীরবর্তী জলঢাকা সহ সবকটি উপজেলায় বইছে শৈত্যপ্রবাহ। শীতের তাণ্ডব বেড়ে যাওয়ার ফলে যেখানে আগুন জ্বালানো হচ্ছে, সেখানেই জড়ো হচ্ছেন মানুষ।
ঠান্ডায় কাহিল হয়ে পড়েছে নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষ। শীতার্ত এসব মানুষ খরকুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। হাসপাতাল গুলোতেও বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। জলঢাকা উপজেলায় প্রায় ৪ লক্ষ মানুষের স্থলে ৪ হাজার ৪’শ কম্বল বরাদ্দ পেয়ে বিতরণ করা হয়েছে।
দিনরাত সমানতালে গুড়িগুড়ি বৃষ্টির মতো শিশিরে জবুথবু হয়ে পড়া এসব মানুষ ভীড় জমাচ্ছেন পুরাতন কাপড়ের দোকানগুলোতে। তাদের মধ্যে মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকজনদের লক্ষ করা গেছে সবচেয়ে বেশি। শীতের কারণে আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় নিদারুণ কষ্টের কথা জানান নিম্ন আয়ের লোকজন।
পৌরসভার ৫নং ওয়ার্ড আমরুলবাড়ি গ্রামের কৃষ্ণ চন্দ্র রায় ও কৈমারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড গাবরোল হাজ্বী পাড়ার হাসানুজ্জামান সিদ্দিকী বলেন, আজ বেশ কয়েকদিন ধরে ঠাণ্ডার কারণে বাহিরে বের হতে পারছিনা। গেলো বছর সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি এনজিও – সংস্থা এমন কি অনেক রাজনৈতিক নেতাদেরকেও গরীব অসহায় শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করতে দেখা গেছে।
কিন্তু চলতি বছরে প্রচণ্ড এ শীতেও কাউকে শীতবস্ত্র দিতে দেখা গেলনা। তারা আরো বলেছেন, নির্বাচন সামনে আসলে গরীবের দুয়ারে হাতির পা পড়ে আর নির্বাচন গেলে সবাই মুখ ফিরিয়ে নেয়। চর এলাকার আবু মুসা জানায়, জীবন জীবিকার তাগিদে খুব কষ্ট হলেও কাজে বের হতে হয়েছে উপায় নেই।
তবে অন্তত বিত্তশালীদের উচিৎ এই শীতে মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এদিকে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস সুত্রে জানা গেছে, জলঢাকা উপজেলায় সরকারিভাবে চার হাজার চার’শ (৪,৪০০) পিচ কম্বল বরাদ্দ পেয়ে নির্বাচনের পর ১১টি ইউনিয়নের প্রতিটিতে চার’শ করে কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। এবিষয়ে ইউএনও জি.আর সারোয়ার এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, পিআইও অফিসে খোজঁ নেন, আমি এখানে যোগদানের আগে যা বরাদ্দ এসেছে সেগুলোই।