নীলফামারীর জলঢাকা উপজেলার শৌলমারী হতে কৈমারী সড়কের ৯ নং ওয়ার্ড আদর্শ নতুন বাজার সংলগ্ন একটু পশ্চিমে গেলেই দেখা মিলবে কাচা সড়কে রয়েছে একটি বাশেঁর সাঁকো। এটি কোনো সরকারি বা চেয়ারম্যান এমপির দেওয়া নয়।
প্রতিবছর এলাকাবাসী নিজেদের মধ্যে চাদা তুলে প্রায় ১৫ হাজার টাকা খরচ করে এ সাঁকোটি নির্মাণ করেন। কারণ তাদের পারাপারের একমাত্র ভরসায় এই বাঁশের সাঁকো। বর্ষা এলে বাড়ে দুর্ভোগ।
ঝড়বৃষ্টিতে বিপজ্জনক অবস্থার সৃষ্টি হয় এ কাচা সড়কটিতে। চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় স্কুল-কলেজের ছেলেমেয়ে সহ হাজারো মানুষকে। কৃষিপণ্য আনা-নেওয়ার ক্ষেত্রেও দুর্ভোগে পড়তে হয় ওই এলাকার মানুষকে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্বাচন আসলে নেতাকর্মীদের মুখে শুধু কথার ফুলঝুরি ফোটে। নির্বাচন শেষ হলে তাদের আর সাক্ষাৎ মেলে না। বছরের পর বছর শুধুই আশ্বাস আর আশ্বাস। একটি ব্রীজ এবং সড়কটি পাকা করণের
অভাবে এলাকাবাসী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়ে প্রতিনিয়ত পারাপার হচ্ছেন। কৃষিসমৃদ্ধ এই এলাকায় আজও তেমন আধুনিকতার ছোঁয়া লাগেনি।
অন্তত এ ব্রীজটি যে কবে নাগাদ হবে তা কেউ জানেন না। ব্রীজ অভাবে উৎপাদিত কৃষিপণ্য বাজারে আনা-নেয়া এবং অন্যান্য মালামাল বহনে ভোগান্তির যেনো শেষ নেই।
শুধু বাঁশের এ সাঁকোয় মানুষের একমাত্র ভরসা। এখানে ব্রীজ নির্মিত হলে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি সময় ও অর্থের সাশ্রয় হবে বলে মনে করছেন সচেতন মানুষেরা। কথা হয় ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্যের স্বামী মশিউর রহমান জাদু মিয়া সহ এলাকার হোসেন আলী, আব্দুল মজিদ, ফজলে রহমান, আব্দুল হালিম, আব্দুর রাজ্জাক, মনির হোসেন, মজিবর রহমান ও আনারুলের সাথে। তারা সকলে জানান, অর্ধশত বছর যাবত এ খালটির ওপরে বাঁশের সাঁকো দিয়েই চলছে হাজার হাজার মানুষের যাতায়াত। মেম্বার চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এমনকি এমপিও এখানে ব্রীজ নির্মাণের আশ্বাস দিয়েছেন কিন্তু পরে আর কোনো খবর নেই। এলাকার মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে প্রয়োজন এখানে একটি ব্রীজ সহ সড়কটি পাকাকরণ। তাই এখানকার মানুষের দাবি আর কোনো প্রতিশ্রুতি নয়, কবে হবে তাদের এ প্রত্যাশা পুরণ ?