1. admin@alifnews24.com : admin :
  2. maniknews1980@gmail.com : Mahadi Hasan : Mahadi Hasan
  3. llllashim@gmail.com : newseditoralif :
April 27, 2024, 5:26 pm
Title :
জলঢাকায় প্রেসক্লাবে এমপির বিরুদ্ধে মিথ্যা  অপপ্রচার করায় সংবাদ সম্মেলন করলেন যুবলীগ!  ভারতীয় মশলায় ক্যানসারের উপাদান, ব্যবস্থা নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র সম্পাদকীয় – চিকিৎসক ও জনবল সঙ্কটে ধুঁকছে গ্রামীণ হাসপাতাল সৈয়দপুরে জামায়াতের উদ্যোগে সালাতুল ইস্তিস্কা নামাজ আদায় ও দোয়া অনুষ্ঠিত সম্পাদকীয় – সড়ক-নৌপথে বাড়ুক নিরাপত্তা, বন্ধ হোক মৃত্যু লালমনিরহাটে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্যালিকা-দুলাভাই নিহত সারাদেশে হিটস্ট্রোকে ৭ জনের মৃত্যু সম্পাদকীয় – সন্ত্রাসে ব্যবহৃত হচ্ছে কিশোররা, পৃষ্ঠপোষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন জলঢাকায় উপজেলা নির্বাচনে ৪ জন চেয়ারম্যান সহ ১২ জনের মনোনয়নপত্র জমা জলঢাকায় পৌর উপ-নির্বাচন উপলক্ষে প্রার্থীরা ভোট প্রার্থনায় ব্যস্ত জলঢাকায় প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রদর্শনী উদ্বোধনী ও সমাপনী  নীলফামারীর রামগঞ্জ দ্বি-মূখী উচ্চ বিদ্যালয়ে বাংলা নববর্ষ উদযাপন নীলফামারীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে নতুন বর্ষ বরণ ঈদের দিনেও থেমে নেই বর্বরতা: গাজায় ইসরায়েলি হামলায় নিহত ১২২ নীলফামারীতে সুষ্ঠুভাবে চলছে ভিজিএফ’র চাল বিতরণ জলঢাকায় সাংবাদিকদের নিয়ে জামায়াতের ইফতার মাহফিল  নীলফামারীতে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি করে পালানোর সময় ২জন গ্রেপ্তার নীলফামারীতে যুবলীগের ইফতার মাহফিল Start Selling Bitcoin When This Happens, This Quant Says Borroe Finance presale momentum attracts BNB and Tron whales

অবিবাহিত নারীর নাম দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতা তুলে খান চেয়ারম্যান 

নাসির উদ্দিন শাহ মিলন, বার্তা সম্পাদক
  • Update Time : Saturday, March 16, 2024,
  • 42 Time View
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার খালিশা চাপানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার (কেঞ্জুল) এর বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। অবিবাহিত নারীর নাম দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাৎ , গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর), গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার (কাবিখা) সহ বিভিন্ন প্রকল্পের নামমাত্র কাজ করে সম্পূর্ণ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। ভূয়া রেজুলেশন করে ইউপি উন্নয়ন সহায়তা খাতে তিনটি প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন না করে ৩ লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। আরও অভিযোগ রয়েছে ৪০দিনের কর্মসৃজন কর্মসূচির তালিকাভুক্ত শ্রমিকদের কাছে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন চেয়ারম্যান। টাকা দিতে না পারায় ৮জন কর্মদক্ষ শ্রমিককে বাদ দেওয়া হয় ওই কর্মসূচি থেকে।
চেয়ারম্যানের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর চারটি অভিযোগ প্রদান করেন ভুক্তভোগী শ্রমিক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। চেয়ারম্যানের এসব অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে সরেজমিনে অনুসন্ধান করে বিভিন্ন প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎের সত্যতা পাওয়া যায়। এর আগেও ওই চেয়ারম্যানের নানা অনিয়ম দূর্নীতির বিরুদ্ধে স্থানীয়রা অভিযোগ ও পোস্টারিং করলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নি বলে অভিযোগ করেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, ওই ইউনিয়নের ডালিয়া চাপানী উচ্চ বিদ্যালয়ের বেঞ্চ সরবরাহের জন্য ১লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়। কিন্তু বরাদ্দের বিষয়ে কিছুই জানতেন না প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ আজাদ। লোকমুখে বরাদ্দের বিষয়ে শুনে মুঠোফোনে চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকারকে জানানোর পর বেঞ্চ সরবরাহ বাবদ ১লাভ ৭০ হাজার টাকার বিপরীতে ১৫ জোড়া কাঠের পুরাতন বেঞ্চ রাতারাতি স্কুলে পাঠান। প্রধান শিক্ষক আব্দুল হামিদ আজাদ বলেন,‘স্কুলে বেঞ্চ সরবরাহের জন্য ১লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে জানতাম না। লোকমুখে শোনার পর বরাদ্দের বিষয়ে চেয়ারম্যানকে ফোন দিয়ে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন একটি বরাদ্দ হয়েছে। তাকে ফোন করে জানানোর পর ওইদিন সন্ধ্যায় ১৫ জোড়া পুরোনো কাঠের রং করা বেঞ্চ স্কুলে পাঠান তিনি।’
কাবিটা প্রকল্পের আওতায় তালতলা সার্বজনীন মন্দিরের মাটি ভরাট ও সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয় দুই লাখ টাকা। কিন্তু নামমাত্র কাজ করে সম্পুর্ন টাকা আত্মসাৎ করেছে চেয়ারম্যান ও ওই প্রকল্পের সভাপতি ইউপি সদস্য শাপলা বেগম। দুইলাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে সে বিষয়ে মন্দিরের সভাপতি-সেক্রেটারি জানেন না কেউই। সভাপতি-সেক্রেটারির দেখা না পেলে বরাদ্দের বিষয়ে কথা হয় মন্দির কমিটির সদস্য গোকুল রায়ের সাথে। তিনি বলেন,‘আমরা কেউই জানি না কত টাকা বরাদ্দ হয়েছে। একদিন ওয়ার্ড চেয়ারম্যান (ইউপি সদস্য) মন্দিরের মাঠে ৫-৬টলি মাটি এনে ফেলায়। আর লোহার দরজা লাগিয়ে দেয়। সব মিলে ৫০হাজার টাকাও খরচ হবে কি না সন্দেহ।’ এ বিষয়ে কথা হয় ওই ইউপি সদস্য শাপলা বেগমের সাথে। বরাদ্দ বাবদ মন্দিরের মাঠে ২৫টলি মাটি ফেলানোর দাবি তার। তিনি বলেন,‘ চেয়ারম্যান আমাকে প্রকল্প দিয়েছে সে অনুযায়ী কাজ করেছি আমি। মন্দিরে মাটি ভরাট বাবদ ২৫টলি মাটি ফেলেছি আর ৮৫ হাজার টাকা দিয়ে মন্দিরের গেট বানিয়ে দিয়েছি।’ তার দেওয়া হিসেব অনুযায়ী ২৫টলি মাটি ভরাট বাবদ ৩০ হাজার ও  মন্দিরের দরজা তৈরি বাবদ ৮৫ হাজার সহ মোট ১লাখ ১৫হাজার টাকা খরচ হলেও  বাকি ৮৫ হাজার টাকার হিসেব দিতে গিয়ে গড়িমসি শুরু করেন তিনি।
অপর দিকে মাটি ভরাট ও সংস্কারের জন্য শুকানদিঘি পাড় সার্বজনিন মন্দিরেও বরাদ্দ দেওয়া হয় দুই লাখ টাকা। এখানে মন্দিরের বরাদ্দের পরিমাণ কত সে বিষয়ে জানেন না মন্দির কমিটির সভাপতি দিলিপ কুমার রায়। তিনি বলেন,‘চেয়ারম্যানের লোক এসে শুধু বলে একটা বরাদ্দ আছে। সেই বরাদ্দ দিয়ে মন্দির মাঠে ২৭টলি মাটি ও ৬০ হাজার টাকা দিয়ে মন্দিরের একটি গেট বানিয়ে দেয়। কিন্তু দুই লাখ টাকা বরাদ্দ হয়েছে তা আমরা জানি না। আমাদের মন্দিরে সর্বোচ্চ হলেও ৮০ থেকে ৮৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।’
ওই ইউনিয়নে এরকম আরও অনেক প্রকল্পতেই রয়েছে সিমাহীন অনিয়ম। শুধুমাত্র প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎেই থেমে নেই চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকারের অনিয়ম-দুর্নীতি। মাতৃত্বকালীন ভাতা প্রদানে রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। এমন প্রায় ১৪জন ভুক্তভোগীদের দাবি, তালিকায় নাম থাকলেও সুবিধাভোগীরা ভাতা পাননি। চেয়ারম্যান ভাতার যায়গায় নিজস্ব এ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে সেই টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলেও অভিযোগ তাদের।  গর্ভবতী নয় এমন নারীর নাম দিয়ে মাতৃত্বকালীন ভাতার টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি। এমনটিই হয়েছে তহুরা বেগম নামে এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সাথে। তার জাতীয় পরিচয়পত্র ব্যবহার করে মাতৃত্ব ভাতা তোলার অভিযোগ রয়েছে চেয়ারম্যানে বিরুদ্ধে। অথচ ওই শিক্ষার্থীর এখনও বিয়েই হয় নি। শিক্ষার্থী নিজেও জানতেন না তার নামে তোলা হচ্ছে মাতৃত্বকালীন ভাতা।
মুঠোফোনে ওই শিক্ষার্থী তহুরা বেগমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন,‘আমি এখনও পড়াশোনা করছি। সন্তান তো দূরের কথা এখনও আমি অবিবাহিত। কিন্তু চেয়ারম্যান আমার জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে আমার নামে মাতৃত্বকালীন ভাতা তুলছেন। আমি এটি জানার সাথে সাথে চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞেস করলে তিনি কিছু না বলেই  আমার ফোন কেটে দেন। তাই আমি উপায় না পেয়ে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দিয়েছি।’
অপরদিকে ২০২২-২৩ অর্থবছরে ইউপি উন্নয়ন সহায়তা খাতে তিনটি প্রকল্প দেখিয়ে ৩লাখ ১৮ হাজার টাকার কাজ না করেই সম্পুর্ণ টাকা আত্মসাৎ করেন চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার। এ বিষয়েও চেয়ারম্যানের নামে নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগ দেন মঞ্জুরুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি। তার সাথে কথা হলে তিনি বলেন,‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এলাকার উন্নয়নের জন্য যেসব বরাদ্দ দিচ্ছে চেয়ারম্যান তা নিজের উন্নয়নে লাগাচ্ছেন। ভুয়া রেজুলেশন করে নামমাত্র কাজ করে ইউপি উন্নয়ন সহায়তা খাত থেকে ৩লাখ ১৮ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন তিনি।’
প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎের বিষয়ে কথা হয় ডিমলা উপজেলা প্রকল্প বাস্তাবায়ন কর্মকর্তা মো. মেজবাহুর রহমান বলেন,‘কাজ না করে প্রকল্পের টাকা আত্মসাৎ করার সুযোগ নেই। যদি এমন হয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
চেয়ারম্যানের এসব অনিয়ম-দুর্নীতির বিষয়ে ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘খালিশা চাপানী ইউনিয়নের ওই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছি। এসব অনিয়ম তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত রিপোর্ট সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category
চৌধুরী মিডিয়া গ্রুপ এর একটি প্রকাশনা© All rights reserved 
ডিজাইন ও কারিগরি সহযোগিতায়: FT It